লকডাউন পর্ব শেষে নিয়ম শিথিল হতে স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে খুলে গেল জয়রামবাটিতে মাতৃমন্দির

15th June 2020 6:01 pm বাঁকুড়া
লকডাউন পর্ব শেষে নিয়ম শিথিল হতে স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে খুলে গেল জয়রামবাটিতে মাতৃমন্দির


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে খুলে গেলো জয়রামবাটির শ্রী শ্রী মাতৃমন্দির। আজ থেকে রুদ্ধ দ্বার খোলা হলো দর্শনার্থীদের জন্য জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরের। বাঁকুড়ার জয়রামবাটি মাতৃমন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয় লকডাউন এর সময় থেকেই। সরকারী ও মঠ ও মিশনের নিয়ম অনুসারে আজ খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দ্বার। তবে ভক্তগনের প্রবেশের অধিকার থাকলেও বেশ কয়েকটি নিয়ম নীতি আরোপ করেছে মাতৃ মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে সব দর্শনার্থীকেই মুখে মাক্স পরে আসা বাধ্যতামূলক। এরপর মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার তাদের দিতে হচ্ছে থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্ট।।সেই টেস্টে পাশ করলেই তবেই হাতের স্যানিটাইজার মেখে মিলছে মন্দিরে প্রবেশ করার অনুমতি। প্রবেশ এর পরও বেশ কিছু নিয়ম বিধি আরোপ করা হয়েছে দর্শকদের জন্য। যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো চলবে না, নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রণাম করতে হবে। ষষ্ঠাঙ্গ প্রণাম এখন বাতিল। পাওয়া যাবে না মায়ের অন্ন ভোগ প্রসাদ। শুকনো মিস্টান্ন প্রসাদ মন্দিরের ভিতরেই। ১০বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের উদ্ধের দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দির চত্বরে।মন্দির দর্শনের জন্য খোলা থাকবে সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত আবার বিকেল চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত। মাতৃমন্দির চত্তরের রুমে থাকার ব্যবস্থা থাকলেও এখনই সেইসব রুম খোলা হচ্ছে। সবসময় চারিদিকে চলছে স্যানিটাইজার করার কাজ। প্রতিমুহূর্তেই হচ্ছে জীবাণুমুক্ত করা মন্দির। মন্দিরে প্রবেশ করার পথনির্দেশিকা গোল গোল করে চক দিয়ে দাগ কাটা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। তবে একসঙ্গে মাত্র ১০ জনকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে মন্দিরের ভেতরে।১০ জন বার হলে তবেই আবার দশজনকে মন্দিরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
এমন ভাবেই মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে বিধিনিষেধ মেনে এমনটাই দাবী মন্দির কর্তৃপক্ষের।
তবে দীর্ঘ মাতৃ দর্শন করতে না পারা দর্শনার্থীরা খুশি বিধি-নিষেধের মধ্যেও। তাদের একমাত্র আর্তি করোণা নামক দস্যুর বধ করুক স্বয়ং মা সারদা।
মন্দির খুলে যাওয়ায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে ব্যবসা প্রায় বন্ধ রয়েছে।মাতৃমন্দির এলাকার ব্যবসা পর্যটক বিনা অচল এমনটাই দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। দেশ-বিদেশ থেকে অগণিত ভক্ত সমাগম হয় এই মন্দিরে। কিন্তু দীর্ঘ আড়াই থেকে তিন মাস বন্ধ ছিল ব্যবসা। আস্তে আস্তে ভক্ত সমাগম শুরু হলে আবার জমে উঠবে ব্যবসা এই আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও।
 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।